Bsic Bus Stand, Shahzadpur, Sirajgonj
President
শিক্ষাই একটি জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। সংগত কারণেই একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাইতো শিক্ষা অর্জন করা নিঃসন্দেহে একটি মহান ও পবিত্র কাজ। এই মহান ও পবিত্র লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ১৯৯৭ সালে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। সেই থেকে নিরবে নিভৃতে শিক্ষা দেবার এই পবিত্র, মহান কাজটি করে চলেছে অত্র অঞ্চলের আলোকিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহ্জাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ। আমি যতদুর জেনেছি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আজ অবধি ক্রমাগত প্রতিষ্ঠানটি সাফল্যের পরিচয় দিয়ে চলেছে এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ও শিক্ষা পদ্ধতি অন্যদের চেয়ে আলাদা। এদের রয়েছে নিয়মিত সাপ্তাহিক পরীক্ষা, সাপ্তাহিক সাধারণ জ্ঞান জিজ্ঞাসা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি শিল্প, সাহিত্য; সংস্কৃতি ও জাতীয় অনুষ্ঠান গুলোতে এদের যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে। নবাগত ভর্তিচ্ছু ও ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার শুভ কামনা রইলো । আমি কলেজটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।- মো: কামরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শাহজাদপুর
Principal
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবুল ফজল বলেছেন, “ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির শিক্ষিত জনশক্তি তৈরীর কারখানা আর রাষ্ট্র ও সমাজ দেহের সব চাহিদার সরবরাহ কেন্দ্র। এখানে ত্রুটি ঘটলে দুর্বল আর পঙ্গু না করে ছাড়বে না।” এই আলোকে শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা ও দক্ষ শিক্ষকদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানটি উত্তরোত্তর উন্নতি করে চলেছে একই সাথে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান বিশ্বে সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করে চলেছে। “দিন বদলের বইছে হাওয়া, শিক্ষা আমার প্রথম চাওয়া,” সরকারের এইরূপ শিক্ষামুখী পদক্ষেপের সাথে একাত্নতা ঘোষণা করে এই কলেজ সর্বদা কাজ করে চলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে জাতি এগিয়ে যাচ্ছে, তা বাস্তবায়নে এই কলেজের ভূমিকা প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবি, শিক্ষক ও সরকারি উর্ধতন কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এই করোনাকালীন সময়ে (২০২০ ও ২০২১) সরকারি বিধি অনুযায়ী নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস করা হয়েছে। ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২১ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অন্যান্য পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। এবছর যারা কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি পাশ করেছে তারা ভাগ্যবান; তাদের জন্য রইল আমার দোয়া। তাদের অভিভাবকদের জন্য রইল আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। এই কলেজে ভর্তিচ্ছু ও ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীর প্রতি রইল আমার অভিনন্দন । কলেজের সার্বিক উন্নয়নে এলাকাবাসী ও অভিভাবক মন্ডলীর সহযোগিতা কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
Vice Principal
করতোয়া নদী বিধৌত হযরত মখদুম শাহ দৌলা আর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য আমাদের এ পুণ্য ভূমি শাহজাদপুর। নারী শিক্ষার ব্রত নিয়ে একঝাঁক বুদ্ধিদীপ্ত, তরুণ, মেধাবী, নিরলস ও পরিশ্রমী শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে ১৯৯৭ সালে আমরা যাত্রা শুরু করি। সেই থেকে আমাদের এযাত্রা আর থেমে থাকেনি। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আমরা ক্রমাগত সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি। আধুনিক শিক্ষার বাস্তবায়নে আমরা ইতোমধ্যে এতদ্ব অঞ্চলের মানুষের কাছে পূর্ণাঙ্গ আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের রয়েছে এক্সট্রা কারিকুলাম। আমাদের রয়েছে নিয়মিত সাপ্তাহিক পরীক্ষা, সাপ্তাহিক সাধারণ জ্ঞানজিজ্ঞাসা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ক্রীড়া ও জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে আমাদের রয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য বিচরণ। বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অনুষ্ঠিত সকল পরীক্ষা গুলোতে আমরা ঈর্ষনীয় সাফল্য পেয়েছি। নবাগত ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের স্বাগত অভিনন্দন জানাচ্ছি। সম্প্রতি শাহ্জাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভযাত্রা শুরু হয়েছে। ফলে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বাগত ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। পথ যতই বন্ধুর হোক না কেন আমরা গন্তব্যে পৌঁছাবই ইনশাল্লাহ ।
সভ্যতা বিকাশের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। শিক্ষা বিস্তারের সাথে সাথে সভ্যতা বিকাশ লাভ করে। একটি জাতি তখনই সভ্য জাতিতে পরিণত হয় যখন সে জাতি শিক্ষিত হয়। দেশ, জাতি, সভ্যতা ও উন্নয়ন এক সূত্রে গাঁথা। তাই দেশ ও জাতির উন্নয়নে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণের সময়। এই শিক্ষা গ্রহণেরও রয়েছে নানা মাধ্যম। এর মধ্যে সর্বজন স্বীকৃত মাধ্যম হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। একটি জাতিকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যে কর্মমূখী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন তা শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানই দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই একটি উন্নত আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেছেন। সেজন্য প্রণীত হয় “রুপকল্প-২০২১” এবং এর অংশ হিসেবে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় রুপান্তর করতে সরকার এক কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করে চলছে। এজন্য দরকার দক্ষ শিক্ষক উপযুক্ত পরিবেশ যা শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে বিদ্যমান ।
সরকারের স্বদিচ্ছাকে বাস্তবে রুপ দিতে শাহজাদপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ গভর্ণিং বডি ও শিক্ষক-কর্মচারী অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতি বছরই তৈরী করছে প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন আধুনিক জনশক্তি যা “ডিজিটাল বাংলাদেশ” তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।